বুধবার, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
শিল্পজগৎ
  • কবিতা
  • গল্প
    • অনু গল্প
    • ছোট গল্প
  • শিশু-কিশোর
    • অনু ছড়া
    • ছড়া
    • লিমেরিক
  • সাহিত্য সমালোচনা
  • প্রবন্ধ
  • চিন্তন
  • আর্ট গ্যালারি
  • পছন্দের লেখক
  • আপনার কলম
No Result
View All Result
শিল্পজগৎ
No Result
View All Result

ভাসান

সিদ্ধার্থ সিংহ by সিদ্ধার্থ সিংহ
সেপ্টেম্বর ২, ২০২০
in ছোট গল্প
0 0
0
সিদ্ধার্থ সিংহ - শিল্পজগৎ

সিদ্ধার্থ সিংহ - শিল্পজগৎ

23
SHARES
39
VIEWS
Share on Facebook
()

ভাসান || সিদ্ধার্থ সিংহ

বেলুড় মঠের দুর্গা প্রতিমা দশমীর দিনই ভাসান হয়। সেই ভাসান দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য বাঁশ দিয়ে পুরো চত্বর ঘিরে দেওয়া হয়। লাগানো হয় প্রচুর ফ্লাড লাইট। মোতায়েন থাকে সাদা পোশাকের অজস্র পুলিশ।
যেতে একটু দেরি হয়ে যাওয়ায় সেই ভিড়ের একেবারে পেছনে গিয়ে দাঁড়াল রিচা, প্রসিত আর তাদের দশ বছরের একমাত্র মেয়ে চিকি।
প্রসিত ছবি তুলতে খুব ভালবাসে। তেমনি পটুও। আজ পর্যন্ত কতগুলো ক্যামেরা যে কিনেছে তার হিসেব নেই। যে কোনও দৃশ্যকে ফ্রেমবন্দি করতে  সে খুব দক্ষ। একই দৃশ্য বারবার ক্লিক করে যায়। রিচা একবার তার একটা বনসাই গাছের বিভিন্ন দিক থেকে তোলা একটা সিরিজ দেখে বলেছিল,  বাব্বা, এ তো একই ছবি। একগুলো তুলেছ কেন? 
প্রসিত বলেছিল, ছবিগুলো দেখে কি তোমার একই ছবি মনে হচ্ছে? এগুলো প্রত্যেকটার ফ্রেমই তো আলাদা। তোমার চোখে হয়তো এই ছবিগুলোর সূক্ষ্মতম তফাত ধরা পড়ছে না। কিন্তু যাদের ছবি দেখার চোখ আছে, তারা ঠিকই ফারাকটা বুঝতে পারবে।
ভ্রু কুঁচকে রিচা বলেছিল, তা বলে একই গাছের এতগুলো ছবি! 
ও বলেছিল, হ্যাঁ, এতগুলো না তুললে এর মধ্যে থেকে সেরা ছবিটা আমি বাছব কী করে! সেরা ছবিগুলো বেছে বেছে জেলা, জাতীয় এমনকী আন্তর্জাতিক ফোটোগ্রাফি এক্জিবিশনগুলিতেও ও পাঠায়। ইদানিং বেশ নামও হয়েছে।

আজ যখন বেলুড় মঠে আসার সময় একটা নয়, তিন-তিনটে ক্যামেরা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। কখনও এমনি, কখনও আবার জুম করে ব্যারিকেডের ভিতরে থাকা স্বামীজিদের ক্লোজ আপ নিচ্ছে। নিচ্ছে বাঁ দিকের মন্দিরের সিঁড়িতে গ্যালারির দর্শকদের মতো বসে থাকা মানুষের ছবি। ব্যারিকেডের বাইরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকা ভিড়ের ছবিও।
মণ্ডপ থেকে প্রতিমা নামানো হয়েছে অনেকক্ষণ। মাঠের মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে গঙ্গার পাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবার চোখ এখন সে দিকেই। সেটা আরও একটু ভাল করে দেখার জন্য রিচা আর চিকি চেষ্টা করছে ব্যারিকেডের একদম সামনে যাওয়ার জন্য। বাচ্চা দেখে কেউ কেউ কাত হয়ে বা পেছন দিকে চেপে যেই একটু জায়গা করে দিয়েছে, চিকি ঠেলেঠুলে ঠিক এগিয়ে গেছে। মেয়ের পিছু পিছু রিচাও। কিন্তু দু’-চার জনের সামনে এগিয়ে যেতেই এত চাপাচাপি শুরু হল যে, চিকির প্রায় দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। চিকিই বলল, এত ঠেলাঠেলি হচ্ছে না! যেখানে ছিলাম, সেখানেই ভাল ছিলাম। ওখান থেকে তাও দেখতে পাচ্ছিলাম, এত ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে যে, এখানে ঠিক মতো দাঁড়াতেই পারছি না। 
রিচা বলল, তা হলে বেরিয়ে আয়, বেরিয়ে আয়। 
দু’জনকে বেরিয়ে আসতে দেখে কেউ বলল, এরা যে কী করছে! একবার ঢুকছে, একবার বেরোচ্ছে। কেউ বলল, কী হল কী? কেউ বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করল, আর ঢুকবেন না তো?
রিচা বলল, না। বলেই, সবার পিছনে গিয়ে উঁকিঝুঁকি মেরে একটু আগে যেমন বিসর্জন দেখছিল, সে ভাবেই দেখতে লাগল। এ দিকে মেয়ে-বউ কী করছে সে দিকে না তাকিয়ে একের পর এক নিজের খেয়ালে ছবি তুলে যেতে লাগল প্রসিত। 
প্রসিত কোথায়! এ পাশে ও পাশে চোখ ঘোরাতেই রিচির চোখ পড়ল মাত্র দশ-বারো হাত দূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছেলের দিকে। না,  ঠিক ছেলে নয়, লোক। হ্যাঁ, প্রসিতের থেকে বয়সে দু’-চার বছর কেন, হয়তো পাঁচ-সাত, কি তারও  বড় হবে। কিন্তু এই বয়সেও বেশ হ্যান্ডসাম। লম্বা চওড়া। দেখলেই মনে হয়, বড় কোনও কোম্পানির কোনও উঁচু পদে আছেন। সাদা-কালো মেশানো মাথার ঝাঁকড়া চুল আর চাপ চাপ দাঁড়ি তাঁকে যেন আরও স্মার্ট করে তুলেছে। তিনি একদৃষ্টে তার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছেন। চোখাচোখি হতেই চোখ সরিয়ে নিল রিচা। কিন্তু যতই বিসর্জনের জন্য মাঠে নিয়ে আসা প্রতিমার দিকে তাকানোর চেষ্টা করছে সে, ততই তার মনে হচ্ছে, লোকটা কি তার দিকে এখনও ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন! আর যেই সেটা মনে হচ্ছে, অমনি তার চোখ চলে যাচ্ছে লোকটার দিকে।
চোখ যেতেই রিচা দেখল, হ্যাঁ, লোকটা তার দিকেই তাকিয়ে আছেন। তা হলে কি তিনি তাকে চেনেন!  কোথাও আলাপ হয়েছিল! কলেজ জীবনের কেউ কি! নাকি কোথাও কোনও ট্যুরে কিংবা কোনও বিয়েবাড়িতে অথবা অন্য কোথাও তার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল! না হলে তিনি অমন করে তাকে দেখবেন কেন! একমাত্র চেনা হলে কিংবা চেনা চেনা মনে হলেই তো মানুষ এই ভাবে দেখেন! 
রিচা নিজেও মনে করার চেষ্টা করতে লাগল,  এঁকে কোথায় দেখেছে! কোথায় দেখেছে! কোথায় দেখেছে! আচ্ছা, আমি কি এঁকে আদৌ কখনও দেখেছিলাম! আর একবার মুখটা দেখি তো! 
রিচা তাঁর দিকে তাকাতেই লোকটা  মুচকি হাসলেন। হাসলেন!তার মানে তো তিনি তাকে চেনেন! না হলে কেউ কি এ ভাবে খামোকা হাসে নাকি! আর কেউ যদি তাকে চেনেন, তাঁকে দেখে মুখ গোমড়া করে থাকাটা শোভন নয়, বরং অভদ্রতা। তাই তাঁর মুচকি হাসি দেখে সেও হাসি হাসি মুখ করল। 
আর সে হাসি হাসি মুখ করতেই লোকটা ইশারা করে জানতে চাইলেন, সঙ্গে ওরা কারা?
এই প্রশ্নটা শুনে রিচা বুঝতে পারল, না, ইনি তার পূর্বপরিচিত নন। পরিচিত হলে নিশ্চয়ই এ ভাবে জিজ্ঞেস করতেন না। এগিয়ে এসে বলতেন, কেমন আছ? নিজেই যেচে আলাপ করতেন প্রসিতের সঙ্গে। মেয়ের গাল টিপে হয়তো আদরও করতেন। কিন্তু সে সব যখন করেননি, তার মানে আলাপ হওয়া তো দূরের কথা, এঁকে  সে এর আগে কখনও চোখেই দেখেনি। তবু ব্যাপারটা খারাপ লাগল না তার। তাই  রিচাও ইশারাতে বোঝাতে চাইল, পাশের বাচ্চাটি তার মেয়ে। আর চোখের ইশারায় প্রসিতকে দেখিয়ে বোঝাতে চাইল, উনি আছেন। 
লোকটা ইশারা করলেন, আমি ওখানে যাব?
রিচা ইশারায় ওঁকে ওখানেই থাকতে বলল। বলেই, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হাত দেখিয়ে ইশারাতেই বোঝাল, আমি দেখছি। তার পর একটু চিৎকার করেই প্রসিতকে বলল, ছবি পাচ্ছ? 
প্রসিত বলল, ওই, যা পাই…
— ও দিকে গেলে বোধহয় আরও ভাল ভাল  অ্যাঙ্গেল পেতে!
— সেটা অবশ্য ঠিকই বলেছ! 
— গিয়ে দেখতে পারো। 
প্রসিত বলল, তা হলে তোমরা এখানে থাকো। আমি না আসা পর্যন্ত অন্য কোথাও যেয়ো না। 
— হ্যাঁ হ্যাঁ, আমরা এখানেই আছি। আর তুমি যদি আমাদের খুঁজে না পাও, ফোন কোরো। 
— আচ্ছা, ঠিক আছে। বলেই, ঘাটের দিকে চলে গেল প্রসিত।
প্রসিত যখন লোকটার পাশ দিয়ে যাচ্ছে, লোকটা ইঙ্গিতে বোঝালেন, ফ্যানটাস্টিক। তার পরেই আবার ইঙ্গিত করলেন, যাব? 
রিচার বাঁ দিকে ছিল মেয়ে। তাই চোখের ইশারায় তার ডান দিকে এসে দাঁড়াতে বলল তাঁকে। 
লোকটি এসে রিচার পাশে দাঁড়ালেন। রিচা হাসি হাসি মুখ করে তাঁর দিকে তাকাল। লোকটিও।

ফাঁকা ভেবে প্রসিত যেখানটায় গেল, দেখল আগের জায়গাটার চেয়েও সেখানে বেশি ভিড়।  তবু ক্যামেরা তাক করতে লাগল প্রতিমাকে।  প্রতিমাকে ঘিরে থাকা লোকজনকে।  সে যখন ছবি তুলছে, ঠিক তখনই কে যেন পিছন দিয়ে যেতে যেতে তাকে ধাক্কা মারল। সে নড়তেই তার ল্যান্সে ধরা পড়ল একটি ঢলঢলে সুন্দর মেয়ের মুখ। ওর মনে হল, এ কোনও মেয়ে নয়, জ্যান্ত প্রতিমা। এত সুন্দর নিঁখুত মুখ কারও হয়! এই মুখের কাছে মাটির ওই প্রতিমার মুখ তো একেবারে নস্যি। সে আর প্রতিমার দিকে ক্যামেরা ঘোরাল না। একের পর এক ছবি তুলে যেতে লাগল সেই মেয়েটির।

খেয়াল করেননি, এমনিই লেগে গেছে, এমন ভান করে লোকটি আলতো করে রিচার আঙুল ছুঁলেন। স্পর্শ পেয়েই লোকটির দিকে তাকিয়ে রিচা ইশারা করল, পাশে মেয়ে আছে। 
লোকটি মুখের ভঙ্গিমা করে বোঝালেন,  ঠিক আছে, আমি আছি। ঠিক ম্যানেজ করে নেব। বলেই, এ বার আর আঙুল নয়, রিচার হাতের পুরো তালুটাকে আঁকড়ে ধরলেন। রিচা ফের তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসি হাসি মুখ করল। লোকটা এ বার রিচার হাতে আলতো করে হাত বোলাতে লাগলেন। রিচা কিচ্ছু বলল না।

প্রসিত ওই মেয়েটির ছবি আরও ভাল করে তোলার জন্য একটু ঝুঁকতেই তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মেয়ের পেছনে তার শরীর ঠেকে গেল। এবং ওটা স্পর্শ হওয়ামাত্রই ওর শরীরে যেন চারশো চল্লিশ ভোল্টের কারেন্ট লাগল। ও ঠিক হয়ে দাঁড়াল। কিন্তু পরমুহূর্তেই সেই কারেন্টের জন্যই ওর কেমন যেন একটু সুখানুভূতি হল। সেই সুখ ফের পাবার জন্য এ বার আর অসাবধানতাবশত নয়, ক্যামেরা কাঁধে ঝুলিয়ে, ইচ্ছে করেই মেয়েটির পেছনে শরীর লেপটে দিল। 
মেয়েটি ঝট করে পেছন ফিরে তাকাল, কী হল? ঠিক হয়ে দাঁড়ান।
প্রমিত ইতস্তত হয়ে বলল, সরি সরি সরি।
মেয়েটি আবার প্রতিমা ভাসান দেখতে লাগল। ততক্ষণে আরও কয়েক জন এসে দাঁড়িয়েছে প্রসিতের ডান পাশে। বাঁ পাশে। পিছনে। 
প্রতিমা দেখার জন্য উঁকিঝুঁকি মারার ভান করে প্রসিত ফের মেয়েটির পেছনে অত্যন্ত সন্তর্পনে ধীরে ধীরে শরীর ঠেকাল। মেয়েটি আবার মুখ ঘুরিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলতে গিয়েও, প্রসিতের পেছনের ভিড় দেখে আর কিছু বলল না। মেয়েটি কিছু না বললেও, প্রসিত নিজেই বলল, এত চাপ আসছে না, দাঁড়াতেই পারছি না…

রিচা কিছু বলছে না দেখে লোকটা আস্তে আস্তে হাত থেকে কোমর, কোমর থেকে পিঠে, পিঠ থেকে ধীরে ধীরে হাত রাখলেন কাঁধে। না, তিনি ভাসান দেখছেন না। রিচার মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। রিচাও যত না সামনে তাকাচ্ছে, তার চেয়ে বেশি তাকাচ্ছে ডান দিকে। লোকটার মুখের দিকে। মাঝে মাঝে বাঁ দিকে। মেয়ে দেখতে পাচ্ছে না তো!

না। কেউই টের পায়নি প্রতিমাকে কখন জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে না রিচা। না লোকটা। না প্রসিত।
সামনের লোকজন তাদের ধাক্কা মেরে, ঠেলেঠুলে পেছন দিকে চলে যেতেই, যেই সামনেটা ফাঁকা হয়ে গেল, রিচার ঘোর কাটল। লোকটারও।  সম্বিৎ ফিরে পেল প্রসিতও। ভিড় ছত্রাকার হতেই ব্যারিকেড উধাও হয়ে গেল। সারা মাঠ লোকে লোকে ছেয়ে গেল। কে কোথায় দাঁড়িয়ে ছিল খুঁজে পাওয়া মহামুশকিল।
রিচার কানের কাছে মুখ নিয়ে লোকটা বললেন, আপনার মোবাইল নম্বরটা পাওয়া যাবে?  ঠিক তখনই রিচার ফোনটা বেজে উঠল। ও প্রান্তে প্রসিত— তোমরা কোথায়? 
রিচা বলল, এই তো এখানে।
— এখানে মানে কোথায়?
— যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। 
— আমিও তো সেখানেই। তোমাদের দেখতে পাচ্ছি না তো! কোথায়? 
রিচা বলল, আমিও তো তোমাকে দেখতে পাচ্ছি না। এত লোক! হাত তোলো। হাত তোলো। 
রিচার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন লোকটা। রিচার কথোপকথন শুনে যেই বুঝতে পারলেন তার স্বামী ফোন করেছে, অমনি মুহূর্তের মধ্যে কোথায়  যে উধাও হয়ে গেলেন, রিচা  টেরও পেল না। 
বাঁ হাতে কানে মোবাইল ধরে ডান হাতে পকেট থেকে রুমাল বের করে নাড়াতে লাগল প্রসিত। বলল, দেখতে পাচ্ছ?
রিচা সবার মাথার ওপর দিকে তাকিয়ে এ দিকে ও দিকে চোখ ঘোরাতে ঘোরাতে পেছন ফিরতেই দেখে, সামনেই প্রসিত হাত নাড়াচ্ছে। তাই সঙ্গে সঙ্গে ও বলল, হ্যাঁ হ্যাঁ, পেয়েছি পেয়েছি। পেছন ফেরো, পেছন ফেরো।
প্রসিত পেছন ফিরতেই দেখল, তার বউ মেয়ের হাত ধরে সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। দেখা হতেই ওরা তিন জন ওই ভিড়ের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে বড় রাস্তার দিকে হাঁটতে লাগল। শুধু মাঝে মাঝে পেছন ফিরে রিচা দেখতে লাগল, লোকটা কোথায়! লোকটা কোথায়! লোকটা কোথায়! 

🌾🌾🌾🍄 শি ল্প জ গ ৎ 🍄🌾🌾🌾


লেখা পাঠানোর ই-মেল – shilpajagatbangla@gmail.com
আমাদের ফেসবুক পেজ

কেমন লাগল আপনার, মূল্যায়ন করুন? মুল্যায়ন করতে উপযুক্ত স্থানের তারাতে ক্লিক করুন।

*১ম তারা - মোটেই ভাল নয় **২য় তারা - কিছুটা ভাল *** ৩য় তারা - মোটামুটি ভাল **** ৪র্থ তারা - ভাল ***** ৫ম তারা - খুব ভাল

গড় মতামত / 5. মতামতের সংখ্যা :

এখনো পর্যন্ত কেউ মতামত দেয়নি, আপনি প্রথম মতামত দিন।

লেখাটি নিশ্চয় আপনার ভালো লেগেছে।

পরবর্তী লেখাগুলি পেতে, আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক করুন।আর See First করে রাখুন, ধন্যবাদ।

দুঃখিত , এই লেখাটি আপনার ভালো লাগেনি।

আমি লেখাটিকে আরও সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করব

কিভাবে লেখাটিকে আরও সমৃদ্ধ করা যায়, তা জানান?

Previous Post

পাঁচটি কবিতা

Next Post

প্রিয় নিরুদ্দেশ – ২৩

সিদ্ধার্থ সিংহ

সিদ্ধার্থ সিংহ

২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে। ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ই তাঁর প্রথম কবিতা ছাপা হয় 'দেশ' পত্রিকায়। প্রথম ছড়া 'শুকতারা'য়। প্রথম গদ্য 'আনন্দবাজার'-এ। প্রথম গল্প 'সানন্দা'য়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহল তোলপাড় হয়। মামলা হয় পাঁচ কোটি টাকার। ছোটদের জন্য যেমন মৌচাক, শিশুমেলা, সন্দেশ, শুকতারা, আনন্দমেলা, কিশোর ভারতী, চিরসবুজ লেখা, ঝালাপালা, রঙবেরং, শিশুমহল ছাড়াও বর্তমান, গণশক্তি, রবিবাসরীয় আনন্দমেলা-সহ সমস্ত দৈনিক পত্রিকার ছোটদের পাতায় লেখেন, তেমনি বড়দের জন্য লেখেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ এবং মুক্তগদ্য।‌ বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতেও। 'রতিছন্দ' নামে এক নতুন ছন্দের প্রবর্তন করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দুশো পঁতাল্লিশটি। তার বেশির ভাগই অনুদিত হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়। বেস্ট সেলারেও উঠেছে সে সব। ষোলোটি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন এবং লিখতে পারেন। এ ছাড়া যৌথ ভাবে সম্পাদনা করেছেন লীলা মজুমদার, রমাপদ চৌধুরী, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মহাশ্বেতা দেবী, শংকর, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা ভট্টাচার্য, নবনীতা দেবসেন, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে। তাঁর লেখা নাটক বেতারে তো হয়ই, মঞ্চস্থও হয় নিয়মিত। তাঁর কাহিনি নিয়ে ছায়াছবিও হয়েছে বেশ কয়েকটি। গান তো লেখেনই। মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি বাংলা ছবিতে। তাঁর ইংরেজি এবং বাংলা কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কয়েকটি সিনেমায়। বানিয়েছেন দুটি তথ্যচিত্র। তাঁর লেখা পাঠ্য হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের এক তারিখ থেকে একত্রিশ তারিখের মধ্যে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, মুক্তগদ্য, প্রচ্ছদকাহিনি মিলিয়ে মোট তিনশো এগারোটি লেখা প্রকাশিত হওয়ায় 'এক মাসে সর্বাধিক লেখা প্রকাশের বিশ্বরেকর্ড' তিনি অর্জন করেছেন। ইতিমধ্যে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, সন্তোষকুমার ঘোষ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, নতুন গতি পুরস্কার, ড্রিম লাইট অ্যাওয়ার্ড, কমলকুমার মজুমদার জন্মশতবর্ষ স্মারক সম্মান, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা।

Next Post
সোমনাথ বেনিয়া - শিল্পজগৎ

প্রিয় নিরুদ্দেশ - ২৩

সজল কুমার টিকাদার - শিল্পজগৎ

অ্যাকোরিয়াম

মেহেনাজ পারভীন - শিল্পজগৎ

৫২ থেকে ৭১ এর কসম

Discussion about this post

জাতীয় সঙ্গীত

https://shilpajagat.com/wp-content/uploads/2020/06/jana-gana-mana.mp3

শিল্পজগৎ এ কীভাবে আপনার লেখা পাঠাবেন?

খুবই সহজ,

আপনার মৌলিক রচনাটি কোন বিভাগের জন্য তা জানিয়ে, লেখাটি পাঠাবেন, লেখাটির সাথে-

  1. এক কপি ফোটো
  2. ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার
  3. লেখক/কবি পরিচিতি

দিয়ে পাঠিয়ে দেন আমাদের মেইল আইডিতে

shilpajagatbangla@gmail.com

আমাদের ওয়েবসাইটের আপডেট গুলি পেতে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করুন।

https://www.facebook.com/banglashilpajagat

TechnojagatTechnojagat

বিভাগ

আমাদের ফেসবুক বন্ধুরা

সাম্প্রতিক

দেবাশিস সরখেল - শিল্পজগৎ

বিদ্যাসাগর

জানুয়ারি ২৪, ২০২১
বিপ্লব গোস্বামী - শিল্পজগৎ

তিনিই সব

জানুয়ারি ২৪, ২০২১
কিশলয় গুপ্ত - শিল্পজগৎ

আমার মল্লিকা বনে ২৫

জানুয়ারি ২৪, ২০২১
নীলাঞ্জন কুমার - শিল্পজগৎ

আটপৌরে কবিতা ৬১-৬৫

জানুয়ারি ২৪, ২০২১
নীলাঞ্জন কুমার - শিল্পজগৎ

আটপৌরে কবিতা ৫৬-৬০

জানুয়ারি ১৭, ২০২১
অনাদি প্রসাদ মাজী - শিল্পজগৎ

পুরুষতন্ত্র

জানুয়ারি ১৩, ২০২১
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় - শিল্পজগৎ

দুটি কবিতা

জানুয়ারি ১৩, ২০২১
গৌরাঙ্গ মাজী - শিল্পজগৎ

লাঙ্গলের বাঁট ধরা হাত

জানুয়ারি ১২, ২০২১
বেলতলা

বেলতলা

জানুয়ারি ১০, ২০২১
নীলাঞ্জন কুমার - শিল্পজগৎ

আটপৌরে কবিতা ৫১-৫৬

জানুয়ারি ১০, ২০২১
শিল্পজগৎ

শিল্প জগৎ, এটি বাংলা সাহিত্য চর্চার একটি সুন্দর প্রতিষ্ঠান । শুধু সাহিত্য নিয়েই যে এখানে চর্চা হয় তা নয়, সাহিত্য ছাড়াও চিত্রশিল্প,অঙ্কন শিল্প এই সমস্ত কিছু নিয়েই এই শিল্প জগৎ।এই শিল্প জগৎ এর হাত ধরে সমস্ত কবি সাহিত্যিক চিত্র শিল্পী সকলে আজ এক সুতোয় বাঁধা । তাদের লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান । আপনি যদি কবি, গল্পকার , লেখক বা চিত্র শিল্পী অথবা সাহিত্য জগৎকে ভালোবেসে সদ্য লেখালেখি শুরু করেছেন বা চিত্র অঙ্কন করেন তাহলে আপনার সৃষ্টি পাঠিয়ে দেন আমাদের এখানে ।

  • about
  • Contact
  • Privacy & Policy
  • advertise

"all rights reserved"   & copyright © 2020 Shilpajagat  - a creation of  Technojagat . *** শিল্পজগতে প্রকাশিত যে কোনো বিষয়ে লেখনীর "দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত লেখকের ব্যাক্তিগত"। এর জন্য শিল্পজগৎ কখনও দায়ী নয়। শিল্পজগৎ, শিল্পীর শিল্প প্রদর্শনের একটি মাধ্যম মাত্র।এটি কোন বানিজ্যিক সংস্থা নয়।

No Result
View All Result
  • কবিতা
  • গল্প
    • অনু গল্প
    • ছোট গল্প
  • শিশু-কিশোর
    • অনু ছড়া
    • ছড়া
    • লিমেরিক
  • সাহিত্য সমালোচনা
  • প্রবন্ধ
  • চিন্তন
  • আর্ট গ্যালারি
  • পছন্দের লেখক
  • আপনার কলম

"all rights reserved"   & copyright © 2020 Shilpajagat  - a creation of  Technojagat . *** শিল্পজগতে প্রকাশিত যে কোনো বিষয়ে লেখনীর "দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত লেখকের ব্যাক্তিগত"। এর জন্য শিল্পজগৎ কখনও দায়ী নয়। শিল্পজগৎ, শিল্পীর শিল্প প্রদর্শনের একটি মাধ্যম মাত্র।এটি কোন বানিজ্যিক সংস্থা নয়।

Login to your account below

Forgotten Password? Sign Up

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist

Don`t copy the Content! \\\\\\\"all rights reserved\\\\\\\" ©copyright © 2020