মৃত্যুর অধিক || দেবাশিস সরখেল
পরানপ্রিয় কবিরাজ সঞ্জীব বাবুর নিদান হাঁকানোর দু’দিন পর ঈষিকা বাড়ি এলো। এম.ডি. করেছে,কলকাতায় চেম্বার।
হতাশ ও বিষাদগ্রস্ত সঞ্জীববাবু ইতিমধ্যে মেয়ের নামে যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির দানপত্র তৈরী করে রেখেছেন।
ঈষিকা পাত্তা দিলো না।
– বাবা, তাবিজ কবজ, কবরেজ এসব আনপড় ব্যাপারগুলোকে পাত্তা দাও কেন? চলো আমার সাথে।
বেঁচে গেলেন সঞ্জীববাবু। মেয়ের কাছে কলকাতায় থাকতে লাগলেন।
ইতিমধ্যে বছর ঘুরতে না ঘুরতে মেয়ে অসবর্ণ বিবাহ করলো।
খবর এলো, মাত্র দু’দিনের জ্বরে ছোট ভাই রাজীব মারা গ্যাছে।
বিধ্বংসী ঝড়ে সঞ্জীববাবুর ফলের বাগান তছনছ। এদিকে হাহাকার, মৃত্যু, ভাইরাস।
কবরেজের কাছে ফিরে এলেন সঞ্জীববাবু।
বল্লেন, তোমার নিদান মিথ্যে নয় কবরেজ, এই মৃত্যুমিছিলে হরেক ডরাভয়, অসহনীয় পরিবেশে বেঁচে থাকা অর্থহীন।
হাসলেন কবিরাজ/ – বেঁচে থাকো সঞ্জীব। বেঁচে থাকাটাই তোমার মৃত্যুর অধিক প্রাপ্তি।
🌾🌾🌾🍄 শি ল্প জ গ ৎ 🍄🌾🌾🌾
লেখা পাঠানোর ই-মেল – shilpajagatbangla@gmail.com
আমাদের ফেসবুক পেজ
Discussion about this post