সেদিন এক মা শিশুটিকে দিয়েছিল
রাস্তায় ফেলে,
অভাবে পালন করতে পারবে না বলে।
চার্লি,ভবঘুরে নিয়েছিল স্নেহভরে তুলে
নিজ কোলে।
স্নেহ ভালবাসা দিয়ে ছেলেটিকে বড় করে,
ছেলেটি বুঝেছিল,পিতা মোর এই ভবঘুরে।
গল্পের মধ্যে আছে বহু মজা আর কৌতুক,
গভীরে আছে,নৈর্ব্যক্তিক পিতৃত্বের মূল্যবান যৌতুক।
তাই গল্পের শেষে, দর্শক চোখের জলে ভাসে,
হারিয়ে যাওয়া পিতৃত্ব,মাতৃত্ব, ভ্রাতৃত্বের রসে।
পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার আত্ম সর্বস্বতায়,
মানবিক গুণগুলি একেএকে সব হারিয়ে যায়।
চার্লি চ্যাপলিনের আভিনয ও পরিচালনায়,
দর্শক,হারিয়ে যাওয়া মানবিক গুণণাবলী দেখে
মনে মনে স্বস্তি পায়।
গুণাবলী ফিরে পেতে দর্শকের মনে আকাঙ্খা জাগায়,
তাই চার্লি চ্যাপলিন,আজো স্মরণীয স্বমহিমায়।
মানুষ আবারো মহত্তর,উচ্চতর মানবিকতা,মান-
বতা,ফিরে পেতে চায়।
( অনাদি মাজী)
১৬.০৪.২০২০
Discussion about this post