ছোট গল্প – পর্ব-২– ©চিন্ময় বাউরী — শিল্পজগৎ
আগের(কফি) পর্বটি পড়তে ক্লিক ক রুন ->কফি পর্ব
– হ্যালো!
– (ঘুম জড়ানো গলায়) কে?
– উঠুন মহারাজ! দুনিয়া আপনার অপেক্ষা করছে যে!
– (ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে) ওহ আপনি! বলুন!
– চিনতে পারলেন তাহলে!
– ঘুমিয়ে ছিলাম, memory loss হয় নি!
– আপনার humour টা সত্যি! বাঁধিয়ে রাখার মতো!
– তার সাথে সাথে মানুষ টাও most unique! বুঝলেন!
– উফফ! চারিদিকে অশিক্ষা, ইংরেজিতে most unique বলে কিছু হয় না, unique টাই এখানে superlative!
– তো সকাল সকাল ইংরেজিতে জ্ঞান দেবার জন্য ফোন করেছেন বুঝি?
– সকালটা আর আছে কোথায়? এবার তো . . . .
– ধুর, এখন অনেক সময়! সবে তো ৯.৩০ বাজছে! ঘুমটা ভাঙিয়ে দিলেন তো!
– বেশ করেছি!
– জানেন আধ ঘন্টা ঘুম deficit হয়ে গেল! এর দায়িত্ব নেবেন আপনি?
– আমি কটাই উঠেছি জানেন? ৬টাই!
– চরণ কোথায় আপনার? সেই সময় আমার মধ্যরাত্রি! রঙ বেরঙের স্বপ্ন প্রকাশনার “এলিট” সময় ওটা!!
– এবার বুঝলাম privacy concern এর আসল কারন!
– কি বুঝলেন?
– পড়ে পড়ে ঘুমানোর নাম আজকাল তাহলে privacy!
– হা হা হা, ঘুম is directly proportional to “privacy”!
– বাপরে! এতো lazy! অফিস যান কিভাবে?
– মানুষের এক অন্যতম আবিষ্কার “alarm clock” এর কৃপাই! দায়িত্ব নিয়ে daily তুলে দেয়!
– আমার ওসবের দরকার পড়ে না! আপনা থেকেই ঘুম ভেঙে যায়!
– শুনুন, আপনার মতো আমি রামদেব বাবার বংশধর নয়!
– কি?
– তা নাতো কি! সকাল ৬টাই উঠে “কপালভাতি” করার কোনো ইচ্ছে আমার নেই! তবে……
– ওটা just হবেও না আপনার দ্বারা!
– তবে এমনি daily তুলে দিলে একটু ওঠার চেষ্টা করতেই পারি!
– বাবাহ, ভুতের মুখে রাম নাম! আমার খেয়ে দেয়ে আর কাজ নেই বলুন! alarm clock হব বলছেন!
– আরে দেখুন, আপনি তো সকালে উঠছেনই, আমাকেও একটু তুলে দিলেন!
– ওসব হবে না বুঝলেন!
– please, যদি আপনার কারণে রামদেব বাবা আমাকে দত্তক নিয়ে নেয়, তাহলে we’ll be a family!
– কোথা থেকে কোথাই চলে যাচ্ছেন! আচ্ছা বেশ!
– thank you, madam!
– আপনদেরকে thank you বলতে নেই!
– আপনদেরকে আপনি করেও বলতে নেই! বুঝলেন!
– আচ্ছা, বেশ! বেশ!
(ঠিক সেই সময় alarm clock বেজে উঠলো। alarm clock কে শান্ত করে)
– alarm clock, তোর ছুটি আজ থেকে!
“যা ভাই জিলে অপনি জিন্দেগী”
– অনেক হলো এবার, মুখ ধুয়ে breakfast করো গিয়ে!
– breakfast! সেটা আবার কি? brunch বলো brunch!
– হুম, এই brunch শব্দটা! তোমার মতো কিছু lazy মানুষদের জন্যই নির্মিত!
– আরে এটা breakfast এর বিবর্তিত রূপ বুঝলে! ডারউইন এর বিবর্তনবাদ!
– বাহ! professor তো! যাও এবার, আমিও যাই কিছু অফিসের কাজ আছে! করতে হবে।
– ছুটির দিনেও অফিস! অফিসকে বাহন করো, বহন করো না!
– সত্যি, তোমাকে দেখে শেখা দরকার! কত cool তুমি! কাশঃ এমনি হতে পারতাম!
– ধুস! cool হয়ে কি করবে? ভালোই তো hot আছো!
– তাই! শুরু হয়ে গেল flirting হা! রাখছি এখন!
– কি হলো? হ্যালো. . . . . .
(সন্ধ্যের দিকে whatsapp এ)
– hi! সুন্দরী!
– বাবাহ! চ্যাটের কি বহর! তা কতজন পিছলেছে আজ অবধি!
– এ ব্যাপারে আমার রেকর্ড বেজায় খারাপ, জানো!
– তাই নাকি? স্কোর কত তাও?
– ঐ মেরেকেটে দেড় জন হবে, একজন তো চলে গেছে, আর একজনের অর্ধেক হওয়া বাকি আছে!
– মোটেও না, সিকিভাগও impress করতে পারোনি, বুঝেছো!
– আচ্ছা, তাই বাড়িতে যে বললে আমি পছন্দ! ওটা মিথ্যে!
– ঠিক মিথ্যে না, কিভাবে বোঝাই তোমায়?
– প্যায়ার সে সমঝাইয়ে!
– like আর love এর মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে শেখো! প্রথমটা necessity আর পরেরটা luxury!
– সাবাশ! বাইশে শ্রাবণ! বাহ!
– সৃজিত মুখার্জির সিনেমা! প্রত্যেকটা masterclass!
– সৃজিত ভালো তবে শিবপ্রসাদ-নন্দিতা is best!
– you wish!
– চলো,একটা হালকা rapid fire হয়ে যাক, কি বলো?
– ইরশাদ!
– চা না কফি?
– কফি!
– পাহাড় না সমুদ্র?
– সমুদ্র! বৃষ্টিভেজা সমুদ্র!
– SRK না সল্লু?
– আমীর!
– দীপিকা না প্রিয়াঙ্কা?
– দীপিকা! ladycrush!
– last! লাল না সবুজ?
– কমলা! তবে “ভক্ত” নই আমি!
– শালা! সব কিছুতে opposite! কেউ ঠিকই বলেগেছে opposites attract! আমরা perfect example!
– আমি তো আগের থেকে আঁচ করেছিলাম, ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্য!
– উম, কেমন একটা দুঃখমোড়া backstory এর গন্ধ পাচ্ছি!
– কিসের backstory?
– ঐ চিরাচরিত গল্প, একটা প্রাক্তন, একটু ভালোবাসা, হালকা দুঃখ, প্যান প্যানে climax! আর কি?
– হা হা হা, হ্যাঁ প্রাক্তন ছিলো তবে গ্লানির ভবতি ভারত হতে হয় নি! সম্মানপূর্ব্বক বিদায় নিয়েছি! no hard feelings!
– সবাই পারেনা এরম! যাই হোক বলছিলাম এই weekend এ বেরলে কেমন হয়?
– weekend? হুম, হয়ে যাক!
– তোমার fav সৃজিতের “দ্বিতীয় পুরুষ” লেগেছে! দেখা যাক, ওখানেই বিচার হবে, কে best?
– তা দেখায় যায় তবে, scene টা বড্ড real হয়ে যাচ্ছে না!
– কোন scene?
– ঐ তো watching “দ্বিতীয় পুরুষ” with my “দ্বিতীয় পুরুষ”!!
(চলবে…)
পরের ( ভালোবাসা ) পর্বটি পড়তে ক্লিক ক রুন ->ভালোবাসা পর্ব
— ©চিন্ময় বাউরী — শিল্পজগৎ