– Hi 😊 কেমন আছিস?
– ভালো! তুই বল!
– কি আর বলবো? চলছে।
– সে তো ১৯৯৬ থেকে চলছিস! অন্য কিছু বল।
– আমার জন্মসালটা পর্যন্ত ভুলে গেছিস! বাহ!
– গাধা!
– কেন গাধা কেন বললি?
– শুধু গাধা নয়, মাথামোটা গাধা!
– এই জন্য শালা! তোর সাথে কথা বলতে নেই, পদে পদে অপমান করিস।
– তো আমি বলেছি নাকি? তুই তো নিজের থেকে মেসেজ করলি!
– হ্যাঁ তাবলে গাধা এসব বলবি তুই!
– আরে বাবা, জন্মের পরপরই কি চলতে শিখে গেছিলি কি তুই? ২-৩ বছর তো লেগেছিল নাকি!
– ওহ এটা বলছিলি তুই।
– তা নাতো কি? অঙ্কটা আর হলো না বস তোর দ্বারা কোনদিন!!
– হুম অঙ্কটাতে কাঁচা থেকেই গেলাম। সবই কপাল রে।
– কতদিন ভাই! সব জিনিসটা এভাবে তোকে বুঝিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে!
– কি? গাঁজা টাঁজা খাচ্ছিস নাকি? এক্স বয়ফ্রেন্ডকে “ভাই” বলছিস!!
– না রে! তবে খাবার ইচ্ছে আছে! এনে দিবি?
– পাগল! ওসব আবার কেউ খাই নাকি!
– এই টাই তোর দোষ জানিস তো! সারা জীবনটা “ভদ্র” ছেলে হয়ে কাটিয়ে দিলি, না খেলি মদ, না গাঁজা, যা আর বললাম না!
– না না বল বল! লজ্জা পাস না!
– শোন ওসব লজ্জা টজ্জা আমি বিশেষ পাই না বুঝলি!
– খুব ভালো ভাবে জানি! আমার হাতে রাখী পরাতেও লজ্জাবোধ করিস নি!
– হা হা হা! সেই কেসটা! ভালো মনে করালি তো! কি করতাম বল! পাড়ার দিদি দেখে ফেলেছিল, সোজা গিয়ে মাকে বলত, ক্যাঁচাল এড়াতে আর কি!
– তাবলে. . . . . .
– ওটা situation এর demand ছিল বাবু!Technically তাহলে তুই আমার ভাই! কি বলিস!
– চুপ কর বুঝলি!
– এই তোর সাথে পরে কথা বলব, রাখছি এখন!
– যা কি হলো আবার. . . . . . .
( সেই দিন গভীর রাতে)
– কি রে! ঘুমাস নি?
– না এবার ঘুমাবো!
– তখন ওভাবে হুট করে রেখে দিলি কেন?
– হুম রে একটু কাজ ছিল।
– বয়ফ্রেন্ড ফোন করেছিলো বুঝি!
– গোয়েন্দাগিরি! ACP Pradyuman হতে চাও?
– সেটা আবার কে?
– typical uncultured মাইরি! এই তুই ঘুমা তো! তোর দ্বারা কিসসু হবে না।
– আচ্ছা! ভুলে যাস না, এই uncultured টার পেছনে পাগল ছিলিস এতোদিন!
– এখনো পাগল আছি রে!
– তো আবার সব কিছু ভেঙ্গে দিলি কেন?
– ধুর, মাঝরাতে আবার সেই পুরোনো কাসুন্দি ঘাটছিস! শোন না, ঐ instagram এর মাইয়াডার কি scene রে? বেশ তো আঁতেলমার্কা caption দিয়েছিলি!
– কোনটা? আমার কলিগ!
– ওহ! ওটা তোর কলিগ। বেশ মিষ্টি দেখতে রে!
– হুম, একটু বেশিই মিষ্টি, ডায়াবেটিস হবার আগেই ছেড়ে দিলাম!
– মানে?
-ধুর, বড্ড সাজানো গোছানো, বড্ডবেশি নিয়মমাফিক! মেকি ভদ্রপনাই ভরপুর! থাকলাম বেশ কিছুদিন একসাথে! পোষালো না!
– মানে সেই মাথার উপর দিয়ে গিয়ে দেওয়ালে দাগ করা আঁতেলমার্কা আর্ট ফিল্ম!!
– আমার না একটু অগোছালো কাউকে দরকার!
সীতা ও গীতার মধ্যে গীতাকেই আমার বেশি পছন্দ!
– একটা গীতা কে পেয়েছিলি তো!
– পেয়েও হারালাম! আফসোস হয় মাঝে মাঝে!
– হওয়া দরকারও বুঝলি।
– চল না আবার শুরু করি!
– এই রে, আমার বয়ফ্রেন্ডটাকে ধোকা দিয়ে দেব বলছিস!
– বয়ফ্রেন্ড, কবে হলো, কি নাম, থাকে কোথায়?
– থাম থাম, সব বলব তবে কফি খেতে খেতে, একটা ভালো কফি শপ suggest করলাম দেখ!
– কোথায় সেটা?
– বলছি google map আছে তো নাকি ফোনে! ওখানে পেয়ে যাবি।
– আচ্ছে সে নাহলে হলো, একটা ফোটোই দেখা তোর বয়ফ্রেন্ডের!
– ফোটো কেন? চাক্ষুষ দেখিয়ে দিচ্ছি!
– কিভাবে?
– সকালে স্নান করে আয়নার সামনে গিয়ে দাড়াবি, বুঝলি! সেই সময় আমার বয়ফ্রেন্ড কে সবচেয়ে হ্যান্ডসাম লাগে। ঘুমা এবার!!
(সমাপ্ত)
Discussion about this post